বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে চা চক্রে জনসংযোগ বিজেপির : দরিদ্রদের বস্ত্রদান

24th December 2020 9:50 am হুগলী
বিধানসভা ভোটের প্রাক্কালে চা চক্রে জনসংযোগ বিজেপির : দরিদ্রদের বস্ত্রদান


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : আদি সপ্তগ্রাম বিধানসভার আখনা সোনাটিকরি এলাকায় বিজেপি কৃষান মোর্চার  চা চক্র এর মাধ‍্যমে জনসংযোগ । তৃনমূলের দুয়ারে সরকারের পাল্টা কর্মসূচি বিজেপির কৃষকের দুয়ারে দুয়ারে কৃষান মোর্চা। সূচনা করলেন রাজ্য কৃষান মোর্চার সম্পাদক স্বরাজ ঘোষ। তিনি বলেন তৃনমূল ২০২১ সালে আর ক্ষমতায় থাকবে না। বিজেপি সরকার গঠন করবে। যত দুয়ারে সরকার যাবে ততই বিজেপির ভোট বাড়বে। কারণ সবাই জানে চাল,ত্রিপল কারা চুরি করেছে। কৃষি বিল কেন্দ্রীয় সরকার কৃষকদের স্বার্থে করেছে। দিল্লীতে যারা আন্দোলন করছে তারা কৃষক নয় বেশী ভাগ কংগ্রেসের কর্মী। অন্যদিকে রাজ্য যুব মোর্চার ভাইস প্রেসিডেন্ট শঙ্কুদেব পান্ডা বলেন ,  এই রাজ্যে এক মাত্র ঔষধ হল পদ্ম মেডিসিন। যারা বিজেপিতে আসবে ভাবছেন চিন্তা না করে চলে আসুন। পশ্চিবঙ্গে বিজেপি সরকার না এলে উন্নয়ন হবে না। এদিনের মঞ্চ থেকে দরিদ্র মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শীত বস্ত্র । 





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।